বুধবার , ৩০ অক্টোবর ২০২৪ | ৯ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইন আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলাধূলা
  7. চট্টগ্রাম
  8. জনদুর্ভোগ
  9. জাতীয়
  10. জেলাজুড়ে
  11. ঢাকা
  12. বরিশাল
  13. ময়মনসিংহ
  14. রংপুর
  15. রাজনীতি

নেতাদের পিটুনি, সমালোচনায় মহানগর বিএনপি

প্রতিবেদক
নারায়ণগঞ্জ এক্সপ্রেস
অক্টোবর ৩০, ২০২৪ ১১:৫৩ পূর্বাহ্ণ

সদস্য সচিব টিপুর পর বন্দর উপজেলা সভাপতি হিরণকে পিটানোর ঘটনায় আবারো সমালোচনায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি। মাত্র ৫০ দিনের ব্যবধানে বিএনপি নেতাদের পিটুনির ঘটনায় বিব্রত হয়েছে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা।

আওয়ামী লীগ সরকার ৫ আগস্ট পতনের এক মাস পর বন্দরে নিজ দলের নেতা-কর্মীদের হাতে গণপিটুনির শিকার হয় মহানগর বিএনপি সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু। ওই ঘটনা ৫০ দিনের ব্যবধানে আদালতপাড়ায় বন্দর উপজেলা বিএনপি সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণকে পিটুনি দেন মদনপুর ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি কাবিল হোসেন ও তার সমর্থকরা। ওই সময় হিরণ ও তার ভাগিনাকে প্রকাশ্যে মারধরে আলোচনায় আসেন ত্রাস কাবিল হোসেন। এতে আদালতপাড়ায় উভয় পক্ষের মধ্যে হইচই ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় বিব্রত হন সমর্থকরা।

দলের দুই হেভিওয়েট নেতাদের এমন পিটুনিতে নেতা-কর্মীদের হতাশা ও বিরূপ মন্তব্য করতে দেখা গেছে। এদিকে মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটি গঠনের পর থেকে নেতাদের মধ্যে বিভাজনে রয়েছে নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা।

সদস্য সচিব টিপুকে মারধরে তার দলের যুগ্ম আহবায়ক আবুল কাউসার আশা ও আতাউর রহমান মুকুলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এতে কেউ গ্রেপ্তার না হলেও উচ্চ ও নিম্ন আদালতে জামিনে রয়েছেন মামলার আসামীরা। টিপুর পিটুনির ছয়দিন পর দলের কেন্দ্রীয় মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর নিন্দা প্রকাশ করলেও গ্রেপ্তারের আহবান জানায়নি।

গত ৬ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে দলীয় কর্মীরা মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। বন্দর উপজেলার তিনগাঁও এলাকায় একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন আবু আল ইউসুফ খান টিপু। পথে নবীগঞ্জ এলাকায় তিনি হামলার শিকার হন। মারধরের একটি ভিডিওতে টিপুকে রাস্তায় ফেলে পেটাতে দেখা যায়।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, এ হামলার পেছনে মহানগর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি (বহিষ্কৃত) আতাউর রহমান মুকুল ও সাবেক সভাপতির ছেলে সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর আবুল কাউসার আশার ইন্ধন রয়েছে।

তবে অভিযুক্তরা বলছেন, দলীয় নেতা-কর্মীদের মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবি করায় দলের একদল ক্ষুব্ধ কর্মী আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে মারধর করেছে।

অভিযুক্ত আতাউর রহমান মুকুল বলেন, টিপুর তো মাইর খাওয়ার কথাই ছিল। সে দলের নেতাকর্মীদের হত্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে চাঁদাবাজি করে বেড়াচ্ছিল। অনেক নেতাকর্মী তার ওপর ক্ষুব্ধ। তাদেরই কেউ আজকে তাকে মারধর করেছে। এতে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নাই।

আরেক অভিযুক্ত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল কাউসারও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেন।

ঘটনার দুই দিন পর বন্দর থানায় মামলা দায়ের করেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল আল ইউসুফ খান টিপু। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, চাপাতি ও হকিস্টিক দিয়ে যুগ্ম আহবায়ক আবুল কাউসার আশা ও বহিষ্কৃত নেতা আতাউর রহমান মুকুল হত্যা চেষ্টা করে। ওই সময় তার পাঞ্চাবির পকেট থেকে আশা ৬০ হাজার ও মুকুল সাড়ে ৮ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

এদিকে টিপুর এমন অভিযোগকে হাস্যকর ও মিথ্যাচার বলে উল্লেখ্য করেছেন আবুল কাউসার ও আতাউর রহমান মুকুল। আবুল কাউসার আশা বলেছেন, টিপুর গণপিটুনিকালে আমি উপস্থিত ছিলাম না। আর টিপু বলছে, আমি তাকে চাপাতি দিয়ে আঘাত করেছি। তিনি মিত্থুক এই মামলায় আবারো প্রমাণিত হয়েছে।

অপরদিকে আতাউর রহমান মুকুল বলেছেন, মহানগরে বিএনপির তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী তো আমিই আছি। তারা আমাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করিয়েছে। আমি মারামারির মানুষ না, মারামারি করতে জানি না। আমার সেই বয়সও নেই, ওই হামলার ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছে। সেই ফুটেজ দেখলেই সাধারণ মানুষ বুঝছে পারবে কারা হামলা করেছে। সেই ভিডিও ফুটেজে আমি বা আমাদের কোন লোক ছিল না। যাদের কাছে দোষ করেছে তারাই মারধর করেছে। আমার লোকজন এসবের সাথে জড়িত না। মূলত চাঁদা চাওয়া নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ ছিল। ওই টাকা পয়সার লেনদেনের বিরোধে হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি।

সর্বশেষ - জেলাজুড়ে

আপনার জন্য নির্বাচিত