বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদবলেছেন,আমাদের নেতা তারেক রহমান ষড়যন্ত্রমূলক মামলার কারণে দেশে থাকতে পারেন নি। তিনি বিদেশের মাটিতেথাকলেও, সেখান থেকে তিনি আমাদের দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার দিক নির্দেশনা নিয়ে জুলাই ও আগস্ট বিপ্লবের মাধ্যমেআমরা এই জালেম সরকারের পতন ঘটিয়েছি। এখন বাংলাদেশকে নতুন করে গড়ে তোলা আমাদের সকলের দায়িত্ব।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) সিদ্ধিরগঞ্জে ৩নং ওয়ার্ডে সাধারণ মানুষদের উদ্দেশ্যে একথা বলেন তিনি। পরবর্তীতে ৩ নং ওয়ার্ডরেললাইন এলাকায় বিএনপির পক্ষ থেকে ডেঙ্গু সংক্রমণ প্রতিরোধে র্যালি বের হয়। এসময় র্যালি থেকে নেতাকর্মীরা সাধারণমানুষদের মাঝে ডেঙ্গু সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন। এরই পাশাপাশি, মশক নিধনের ম্যাশিনের মাধ্যমে বিভিন্নভবনের চারপাশে ধোয়া ছিটানো হয়।
র্যালির শুরুতে মামুন মাহমুদ বলেন, এই বাংলাদেশের অর্থনীতি ১৫ বছরে তারা ধ্বংস করে দিয়েছে, মানুষের কথা বলারঅধিকার ধ্বংস করে দিয়েছে। কথায় কথায় তারা মানুষের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে, মানুষের উপর হামলা করেছে। আমাদের দলেরভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও আমাদের নেতা তারেক রহমানের নিদের্শে আমরা জনসেবায় কাজ করে যাচ্ছি। আগেও ছিলাম, এখনওকাজ করছি। তরই নির্দেশে আমরা সিদ্ধিরগঞ্জে ডেঙ্গু মশার বিস্তার প্রতিরোধে মাসব্যাপি কর্মসূচী নিয়েছি। আমরা বিএনপিরসকল নেতাকর্মী কাজ করবো। আজকে সেই কর্মসূচীর উদ্বোধন ঘোষণা করছি।
তিনি বলেন, দেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রয়েছে। এই সরকারের ম্যান পাওয়ার ও হ্যান্ডস অত্যন্ত দুর্বল। আমরা বিএনপি থেকেএই সরকারকে নৈতিকভাবে সমর্থণ জানিয়েছি। দল থেকে বলা হয়েছে, একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সংস্কার কাজের জন্য আমরাএই সরকারকে সমর্থণ জানিয়ে যাবো। এই অন্তবর্তীকালীন সরকারকে বলতে চাই, অতি দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। নির্বাচনেজনগণ ভোট দিতে চায়, তারা তাদের মনোনিত প্রার্থীকে সংসদে এমপি হিসেবে দেখতে চায়। জনগণ ভোট দিতে চায়, তারাতাদের ভোটের অধিকার ফিরে পেতে চায়। আমরা জনগণের অধিকারের জন্য রাজপথে আছি। যতদিন জনগণ তাদের ভোটেরঅধিকার না পায় আমরা আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাবো। এর পাশাপাশি মানুষেরে সেবায় যা পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন যাকর্মসূচী প্রয়োজন আমরা গ্রহণ করবো।