ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক মামুন হোসাইনের হত্যাকাণ্ডের পর তার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে জেলা বিএনপি। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে শনিবার বিকেলে নিহতের বাসভবনে যান জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী, থানা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল খালেক টিপু, থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জাকির হোসেন রবিন সহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
নিহত মামুনের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তাদের সান্ত্বনা দেন অধ্যাপক মামুন মাহমুদ। তিনি বলেন, “মামুন হত্যাকাণ্ডের পরপরই আমাদের নেতা তারেক রহমান আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন খোঁজ নিতে। আমি আজ এখানে নেতার নির্দেশেই এসেছি। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানিয়েছি।”
এসময় বিএনপির পক্ষ থেকে নিহত মামুনের দুই সন্তানের পড়াশোনা ও পরিবারের ভরণপোষণের দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মামুন মাহমুদ বলেন, “নারায়ণগঞ্জকে অস্থিতিশীল করতেই মামুনকে হত্যা করা হয়েছে। স্বৈরাচারের দোসররা যে এই কাজ করেছে, তা স্পষ্ট। কারণ, সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পরপরই খুনিরা কোন বাড়িতে প্রবেশ করেছে। প্রশাসন তদন্ত করলেই সব বেরিয়ে আসবে।”
তিনি প্রশাসনকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান এবং দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি করেন।