নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন অভিযোগ করেছেন যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রে পলাতক অবস্থান করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, “স্বৈরাচারী সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন দেশে সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে এবং জনগণের উপর নির্যাতন চালিয়েছে। আজ তারা দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে এবং পলাতক থেকে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।”
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সিদ্ধিরগঞ্জের মিজিমিজি বাতানপাড়ায় বিএনপি নেতা এম.এ. হালিম জুয়েলের কার্যালয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গিয়াসউদ্দিন বলেন, “৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিজয়ের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়েছে। এখন দেশকে নতুনভাবে গড়ে তোলার সময় এসেছে। বিএনপির উপরই দায়িত্ব এসেছে দেশকে এই ধ্বংসস্তূপ থেকে পুনর্গঠন করার।”
তিনি আরও বলেন, “পালিয়ে গিয়ে শেখ হাসিনা পাশবর্তী রাষ্ট্র থেকে নতুন করে ষড়যন্ত্র করছে। তার দল এবং সাঙ্গপাঙ্গরাও এই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আমাদের ঐক্যবদ্ধ থেকে এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে এবং দেশের কল্যাণে কাজ করতে হবে।”
তিনি বিএনপির নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার পাশাপাশি আমাদের দেশের পুনর্গঠনে মনোযোগ দিতে হবে। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, স্বৈরাচারীরা আর নারায়ণগঞ্জে তাদের রাজনীতি চর্চা করতে পারবে না। তাদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড এবং দুর্নীতির কারণে আজ তারা দেশছাড়া।”
গিয়াসউদ্দিন অভিযোগ করেন, “আওয়ামী লীগ সরকার দেশের সম্পদ লুটপাট, মানুষ হত্যা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। তাদের শাসনকালে দেশের যে ক্ষতি হয়েছে, তা থেকে উত্তরণের জন্য আমাদের এখন ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা প্রয়োজন। বিএনপি সেই লক্ষ্যে কাজ করছে।”
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ হালিম জুয়েলের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম, সহ-সভাপতি আব্দুল আল মামুন, ডি এইচ বাবুল, একেএম সামছুল হক, জি এম সাদরিল, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন, যুগ্ম-সম্পাদক আবুল হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন স্বাধীন, কামরুল হাসান শরীফ, ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রওশন আলী, সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন, ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোক্তার হোসেন, ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সাভাপতি তৈয়ব হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ডা. মাসুদ করিম, সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম ভূইয়া, ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব আলী মুন্সি, ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান, ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জামান মির্জা, ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মদিউদ্দিন সিকদার, ১০নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জামাল হোসেন, মনির হোসেন, নাজিদ উদ্দিন, জাকির হোসেন, জহিরুল ইসলাম জহির, হাজবী, সাইফি, নাহিদ ও টুটুল প্রমূখ।