
কোটা আন্দোলনের ঘটনায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আরো একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত বছরের ২০ জুলাই গুলিতে নিহত জুতা কারখানার শ্রমিক সজল মিয়া (২০) মা রুনা বেগম বাদী হয়ে চলতি বছরের ১৬ মে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সাবেক পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। এছাড়াও এই মামলায় পলাতক সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পলাতক সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, পলাতক নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সাংসদ শামীম ওসমান, পলাতক নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সাংসদ নজরুল ইসলাম বাবু এবং নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ডাঃ সেলিনা হায়াৎ আইভীসহ ৬২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো একশ থেকে দেড়শ জনকে আসামী করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, ২০২৪ এর সরকারি চাকরিতে কোটা ইস্যু নিয়ে সারা বাংলাদেশে চলা ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তার ছেলেও যোগ দেয়। সেই মামলার ১ থেকে ৬ নং আসামীদের নির্দেশে এজাহারে উল্লেখিত অন্য আসামীরা সহ ১০০/১৫০ জন অজ্ঞাত আসামীদের হাতে-থাকা দা, ছেনি, লাঠি-সোটা, দেশি-বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্র, পিস্তল, শর্টগান, ককটেল, ও ইট পাটকেল দিয়ে গত বছরের ২০ জুলাই বিকেলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ডাচ বাংলা ব্যাংকের সামনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা করে। এসময় আমার ছেলে সজল মিয়া পেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। পরে দেশের পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ময়নাতদন্ত না করে আমার ছেলের মৃতদেহ দ্রুত গ্রামের বাড়ীর পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করি।
মামলায় আরো উল্লেখ করা হয় শেখ হাসিনা, ওবাইদুল কাদের, আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, ডাঃ সেলিনা হায়াত আইভী-দের প্ররোচনায় এবং শামিম ওসমান, আজমেরি ওসমান ও অয়ন ওসমান-দের উপস্থিতিতে ও তাদের নির্দেশে অপরাপর আসামীরা ছাত্র জনতাকে মারপিট সহ গুলি করে হত্যা করে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শাহিনূর আলম মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

