শুক্রবার , ২৫ অক্টোবর ২০২৪ | ৮ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইন আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলাধূলা
  7. চট্টগ্রাম
  8. জনদুর্ভোগ
  9. জাতীয়
  10. জেলাজুড়ে
  11. ঢাকা
  12. বরিশাল
  13. ময়মনসিংহ
  14. রংপুর
  15. রাজনীতি

শূন্য থেকে কোটিপতি ছাত্রলীগ নেতা তারা

প্রতিবেদক
নারায়ণগঞ্জ এক্সপ্রেস
অক্টোবর ২৫, ২০২৪ ১০:৪৬ পূর্বাহ্ণ

নারায়ণগঞ্জে গত দেড় দশকে বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা নানা পন্থায় উপার্জন করেছেন কোটি কোটি টাকা। ছাত্র নয় এমননেতাও ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে অঢেল সম্পদের মালিক বনে গেছেন। গত জুলাই আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনে এসব নেতাদের হাতে দেখা গেছে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র। আগস্টের পর তারা আবার দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।

কেউ আছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই, কেউ আছেন মালয়েশিয়াতে। ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদেরসেইসব ছবিও ভাইরাল হয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, ২০১৮ সালের ১০ মে নারায়ণগঞ্জ জেলা মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি অনুমোদন হয়। এতে জেলাছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে আজিজুর রহমান আজিজ সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আশরাফুল ইসমাইল রাফেলকে দায়িত্বদেওয়া হয়।

একই সাথে নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে আহবায়ক পদে থাকা হাবিবুর রহমান রিয়াদ সাধারণসম্পাদক হিসেবে যুগ্ম আহবায়কের দায়িত্বে থাকা হাসনাত রহমান বিন্দুকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০২২ সালের ১৬ জানুয়ারি সিটিকরপোরেশন নির্বাচনের ভোটের ৮দিন আগে জানুয়ারি মহানগরের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। আর চলতি বছরের ২২ মার্চ জেলাছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়।

হাজী শাহ মুহাম্মদ সোহাগ রনি

২০১১ সালে জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ছিলেন তিনি।

বর্তমানে তিনি সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। ছাত্রলীগের রাজনীতিতেপ্রবেশের পূর্বে সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়া এলাকায় পুরান বাজারে মাটির তৈরি হাড়ি পাতিল বিক্রি করতেন। পরে প্রভাবশালীএমপি শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমানের বন্ধু হওয়ার সুবাদে তাকে আর পেছনে ফিরতে হয়নি। তখন সোনারগাঁয়েএলজিইডিসহ বিভিন্ন টেন্ডারের কাজ সে একাই বাগিয়ে নিতেন। ওসমান পরিবারের প্রভাব খাটিয়ে সেই থেকে টাকার সাম্রাজ্যগড়ে তোলা শুরু করেন তিনি।

মোঘরাপাড়া পুরান বাজারে তার একটি তিনতলা বাড়ি, ফুলবাড়ি এলাকায় চারতলা বাড়ি, কামারগাঁও এলাকাতেই গড়েছেন তলা বাড়ি দোতলা নতুন ভবন। রুপায়ন আবাসিক এলাকায় রয়েছে ডুপ্লেক্স বাড়ি যার বাজার মূল্য প্রায় কোটি ৫০ লাখটাকা। ঢাকাচট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে কিনেছেন কয়েক কোটি টাকার মূল্যের জমি। কামারগাঁও এলাকায় তার আরো পাঁচ খন্ডজমি রয়েছে। শহরের জামতলা আবাসিক এলাকায় এনএস টাওয়ারে দেড় কোটি টাকা মূল্যের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে তার।ব্যক্তিগতভাবে চলাচলের জন্য তার রয়েছে দুটি গাড়ি। এখানেই শেষ নয়। প্রভাব খাটিয়ে মেঘনা ইকোনমিক্স জোনেরকনস্ট্রাকশন ব্যবসা থেকে শুরু করে মেঘনা ইকোনমিক্স জোনের সকল ব্যবসায় ভাগ বসিয়ে তার একক নিয়ন্ত্রণ গড়ে তোলেন।তার আলাদীনের চেরাগকে বৈধ করতে প্রতিষ্ঠা করেন তার নিজস্ব কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যেমন: সোনারগাঁ রিসাইকেল ইন্ডাস্ট্রি, সুলতান কনস্ট্রাকশন, সাফওয়ান ট্রান্সপোর্ট, ওভারসিজ কম্পানি, সৌদি আরবের জেদ্দা বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠাসহ নদীপথেএকাধিক ড্রেজার বাল্কহেডও রয়েছে। আগস্টের পর থেকে তিনি নিখোঁজ।

আহমেদ কাউসার

স্কুলের গণ্ডি পার হয়নি কিন্তু পরিচয় দিতেন ছাত্রলীগ নেতা। বাবা এক সময়ে ডাব বিক্রি করতেন। শহরের নলুয়া এলাকারকাউসার নিজে শহরের রিভারভিউ মার্কেটে একটি দোকানে চাকরি করতেন। শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমানের সঙ্গেপরিচয় হওয়ার পর থেকে তার উত্থান শুরু। ২০১৭ সালের দিকে অয়ন তাকে ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে ব্যবহার করা শুরুকরেন। বিভিন্ন স্থান থেকে অয়নের সব কালেকশন হতো কাউসারের মাধ্যমে। মুহূর্তে ঘুরে যায় জীবনচিত্র। নলুয়াতে দেড় কোটিটাকা ব্যয়ে একটি দুই তলা ভবন নির্মাণ করেন। গত বছর পাশেই আরো একটি তলা ভবন কিনেন। শহীদনগর আশপাশএলাকাতে প্রচুর জমির মালিক হোন তিনি। গত আগস্টের আগে নারায়ণগঞ্জ শহর শহরতলীর বিভিন্ন এলাকাতেঅস্ত্রবাজীর ঘটনায় তার একাধিক ছবি প্রকাশ পেয়েছে। সেখানে অস্ত্র হাতে তাকে দেখা গেছে অসংখ্যকবার।

হাবিবুর রহমান রিয়াদ

অয়ন ওসমানের বন্ধু মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। সরকারি তোলারাম কলেজ ছিল তার দখলে। বনে যানস্বঘোষিত ভিপি। একই সঙ্গে ছিলেন কলেজ ছাত্রলীগ কমিটির সভাপতি। শহরের মাসদাইর এলাকার প্রধান বাড়ির ছেলেরিয়াদের ভাগ্য ঘুরে যায় গত এক দশকে। জালকুড়ি ভূইগড়ে ৫০ শতাংশ জমির মালিক হয়েছেন তিনি। ছাত্রলীগের প্রভাবেঅয়নের মাধ্যমে গত কয়েক বছরে কোটি টাকা কামিয়েছেন ঝুট ব্যবসা টেন্ডারবাজি করে। 

নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্র ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি জাহিদ সুজন জানান, হাবিবুর রহমান রিয়াদ ২০০৭০৮ সেশনেরঅনার্স বর্ষের ছাত্র হয়েও তোলারাম কলেজের ছাত্র সংসদ দখল করে রেখেছিল। সেখানে ভর্তি বাণিজ্য থেকে শুরু করে বিভিন্নইস্যুতে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। রিয়াদের এক চাচা যার নাম হচ্ছে আশা। তাকে আশা ডাকাত নামে সবাই চিনে।রিয়াদের মেঝো চাচা জুয়ার বোর্ড বসাতেন। নারায়ণগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকায় তিনি জুয়ার বোর্ড বসাতেন আগে।

সূত্র: কালের কন্ঠ

সর্বশেষ - জেলাজুড়ে