ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন হোসেন হত্যার ঘটনায় আলাউদ্দিন হাজির ছেলে আকতার এবং সুমনসহ মোট ২৩ জনকে আসামি করে নিহতের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
শনিবার রাতে নিহতের স্ত্রী ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৮-১০ জনের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন, আকতার, সুমন, রতন ওরফে রাখাল রতন, শাওন হাসান, রাকিব প্রধান, রাব্বিল, নয়ন ওরফে কিলার রতন, শাহ আলম, সোলেয়মান, জয়নাল, রাসেল, গোলাম রাব্বি হৃদয়, আরব আলী সর্দার এবং অজ্ঞাতনামা ৮-১০ জন।
নিহতের স্ত্রী জানান, ২০২৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর রেললাইন বটতলা এলাকায় তার স্বামী মামুনের নেতৃত্বে সন্ত্রাস, মাদক এবং নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে একটি মিছিল বের হয়। ওই মিছিলে যুবলীগ ক্যাডার আকতার, সুমন ও তাদের সহযোগী সন্ত্রাসীরা গুলি চালায়। যদিও সে সময় মামুন বেঁচে যান, এরপর থেকেই আকতার ও সুমন তার স্বামীকে হত্যা করার পরিকল্পনা করতে থাকে।
গত শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ভোরে তাদের পরিকল্পনার ধারাবাহিকতায় আকতারসহ অপর আসামীরা মামুনকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের তিন দিন পরেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
নিহত মামুন ফতুল্লা মডেল থানার পূর্ব লালপুর রেললাইনের মৃত সুমন ব্যাপারির পুত্র। মামুন তাদের পাঁচ ভাই ও দুই বোনের মধ্যে দ্বিতীয়। তিনি ১৪ বছর বয়সী এক মেয়ে এবং ১০ বছর বয়সী এক ছেলে সন্তানের জনক ছিলেন। গত শুক্রবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে পূর্ব লালপুর এলাকায় তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানান, নিহতের স্ত্রী মামলাটি দায়ের করেছেন এবং তদন্ত চলছে।