
নারায়ণগঞ্জ বন্দরে থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটির ১৫নং সদস্য (সহ দপ্তর সম্পাদক) এস.এম. আপেল মারুফের বিরুদ্ধে এক স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী নারায়ণগঞ্জ আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শামীমা আক্তারের আদালতে ২৮ অক্টোবর জবানবন্দী দিয়েছেন।
এতে তিনি উল্লেখ করেন, ১নং আসামি আপেল মারুফের সঙ্গে তার দুই বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। অভিযোগ, ১৪ অক্টোবর তাকে জোরপূর্বক বিয়ে করিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করেছে এবং পূর্বে তোলা কিছু ছবি বিয়ের পর ফেসবুকে প্রকাশ করেছে। জবানবন্দীতে ভুক্তভোগীর বয়স ১৪ বছর উল্লেখ করা হয়েছে।
পরবর্তীতে ভুক্তভোগীর পরিবার ২৭ অক্টোবর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ অনুযায়ী আপেল মারুফ, মাবিয়া ওরফে রিতা হামিদসহ কয়েকজনকে আসামি করে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করেছেন (মামলা নং ৪৮(১০)২৫)।
মামলার তদন্তে ধামগড় ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক হানিফ জেলা সিভিল সার্জনের কাছে মেডিকেল প্রতিবেদন চেয়ে আবেদন করেছেন। তবে দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনও প্রতিবেদন হাতে আসেনি। ভুক্তভোগীর পরিবার ৪ নভেম্বর জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়ে দ্রুত তদন্ত ও সঠিক বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই হানিফ মিয়া জানান, মেডিকেল প্রতিবেদন এখনও ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে রয়েছে, হাতে আসেনি।

