বাসা-বাড়িতে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার দাবিতে মাঠে নেমেছে বন্দরবাসী। ইতোমধ্যে সিটি কর্পোরেশনের বন্দর অঞ্চলের কয়েকটি এলাকা ও ইউনিয়ন পরিষদে সভা সমাবেশ মানববন্ধন ও মিছিল করেছে ভুক্তভোগীরা।
গত শুক্রবার ১৯নং ওয়ার্ডের মদনগঞ্জে গ্যাস সংকট নিরসন, বিগত চার বছরের বকেয়া গ্যাস বিল মওকুফের দাবি মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
ভুক্তভোগী সোনাকান্দার গৃহিণী মেহেতাজ ভূঁইয়া জানান, বিগত ২ বছরের বেশি সময় ধরে বাসায় গ্যাস থাকছে না। আগে ঈদের ছুটিতে গ্যাস সরবরাহ থাকলেও পরদিন থেকে আর গ্যাস থাকে না। এর পাশাপাশি বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত থাকলেও এখন আর কোন সময়েই থাকে না।
হতাশা নিয়ে দড়ি সোনাকান্দার বিল্লাল হোসেন জানান, বিগত দুই বছরের আগে থেকে বাসা বাড়িতে কোন গ্যাস থাকে না। গ্যাস পাইপ থেকে পানি বের হয়। মেরামত করার আবেদন করেও তিতাস গ্যাসের কোন সহযোগিতা পাইনি। বরং মাসে মাসে বিল পরিশোধ করে এখন অতিরিক্ত খরচে রয়েছি। কারেন্টের চুলা ও কেরোসিন তেলের চুলায় প্রতিদিন অতিরিক্ত খরচে দিশেহারা হয়ে পড়েছি। বর্তমান ইউনুছ সরকারের কাছে দাবি থাকবে, গ্যাস সরবরাহে সহযোগিতার।
গ্যাসের দাবিতে মানববন্ধনে ভুক্তভোগীরা জানান, গ্যাস আমাদের নাগরিক দাবি। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির পাশাপাশি গ্যাস সংকটের কারণে আমরা আজকে জর্জরিত। আমাদের কষ্টের সীমা নেই। সারাদিন কাজ করে এসে ঘরে কোন খাবার পাই না। কিনে খাওয়ারও সামর্থ নেই। বর্তমান সরকারের উচিত আমাদেরকে এই সংকটময় পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করা। তা না হলে আমরা আরও বৃহৎ কর্মসূচির উদ্যোগ গ্রহণ করবো। প্রতিমাসে বিল দেই অথচ গ্যাস পাই না, এটা কেমন কথা। আমাদের অঞ্চলে কেউ গ্যাস পায় আবার কেউ একেবারেই পায় না তা কেন হয়। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীদেরকে বলতে চাই, তোমরা সরকারের বৈষম্য দূর করে নতুন সরকার বসিয়েছো কিন্তু আমাদের গ্যাসের বৈষম্যতো দূর করোনি। তাহলে এই বৈষম্য কারা দূর করবে?
বিল নিয়ে গ্রাহকরা বলেন, সরকার যদি আমাদের গ্যাস সরবরাহ করতে না পারে তাহলে বিল নিবে কেন? গ্যাস পাই না অথচ প্রতিমাসে গাসের বিল জমা হয়েছে পাহাড় সমান। আবার আমাদেরকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দিয়ে চলেছে। আমরা বকেয়া বিল কোথায় থেকে দিবো আমাদেরতো সংসারই চলে না। এমনিতে প্রতিদিন ৩ বেলা খাবার কিনে খেতে হয় তার উপরে বকেয়া বিল দেয়ার সুযোগ কোথায়? আমরা বকেয়া বিলও মওকুফ চাই সরকারের কাছে।