নারায়ণগঞ্জে অটোরিকশা ছিনতাই ও চালককে খুন করে নদীতে লাশ গুমের ঘটনায় ছিনতাই চক্রের সাত সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা নৌ পুলিশ। অপহরণ ও হত্যা মামলার জেল পলাতক আসামি কর্তৃক অটোরিক্সা ছিনতাই, চালককে খুন করে নদীতে লাশ গুম, ছিনতাই চক্রের সাত সক্রিয় সদস্য নারায়ণগঞ্জ নৌ পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার, অটোরিক্সা ও অটোরিক্সা বিক্রির টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারি দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কাঁচপুর নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুল মাবুদ।
গত ১৬ জানুয়ারি কাঁচপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ি এলাকার নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সাইলো ঘাট সংলগ্ন বিশ্ব খাদ্য গুদামের পূর্ব পার্শ্বে শীতলক্ষ্যা নদীর পশ্চিম তীরে ভাসমান অবস্থায় একটি অজ্ঞাতনামা পুরুষ (৫১) এর মরদেহ পাওয়া যায়। ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে মরদেহটি পরিচয় সনাক্ত হওয়ার পর ভিকটিমের পরিবার গত ৫ ফেব্রুয়ারি সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করে নিহতের পরিবার।
এরই প্রেক্ষিতে নৌ পুলিশ নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন, বিপিএম এর নেতৃত্বে কাঁচপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. আবদুল মাবুদসহ নৌ পুলিশ নারায়ণগঞ্জ অঞ্চল হতে গঠিত স্পেশাল টিম এই হত্যা মামলার মূল রহস্য উদঘাটন এবং ছিনতাইকৃত অটোরিক্সা উদ্ধার ও আসামী গ্রেফতারের জন্য বিশেষ তৎপরতা ও গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধিসহ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন।
নৌ পুলিশ নারায়ণগঞ্জ অঞ্চল জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে উক্ত হত্যার সাথে জড়িত এবং অটোরিক্সা ছিনতাই চক্রের লিয়ন (৩২), মোঃ বোরহান@ইমরান@ সোহেল@পিচ্ছি (২১), মোঃ শাওন বেপারী (২২), মোসাঃ পারভীন বেগম (২২), শাহীন মোল্লা (৩০), মোহাম্মদ আলী (৫৫) ও মোঃ আল আমিন সর্দার (৩৮) সহ সাতজন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
তাদের হেফাজত থেকে ছিনতাইকৃত একটি অটোরিক্সা, মৃতের ব্যবহৃত একটি আইটেল মোবাইল ফোন, চালককে অজ্ঞান করার কাজে ব্যবহৃত চেতনা নাশক ঔষধ, একটি অটোরিক্সা বিক্রির নগদ ২৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের নৌপুলিশ সুপার মোঃ আলমগীর হোসেন বিপিএম বলেন, এই চক্রটি দীর্ঘদিন যাবত নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় সংঘবদ্ধভাবে অটোরিক্সা চালককে চেতনানাশক ঔষধ সেবন করিয়ে হত্যা করার পর লাশ নদীতে ফেলে দেয়াসহ অটোরিক্সা ছিনতায়ের সাথে সরাসরি জড়িত।
অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।