খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেলোয়ার ওরফে দেলু তালতলা এলাকার মৃত আব্দুল সাত্তারের ছোট ছেলে। বিগত দিনে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নাসিক ১নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ওমর ফারুকের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি ছিলেন। পরবর্তীতে একই ওয়ার্ডের সদ্য সাবেক কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলামের নাতী পরিচয়ে চালাতেন তার অপকর্ম। আওয়ামী লীগ নেতাদের নাম ভাঙিয়ে দেলু অবৈধ ব্যবসা করে বিপুল সম্পদের মালিক বনে গেছে। গড়ে তুলেছেন চার তলা ভবন। এলাকায় ক্রয় করেছেন একাধিক জমি ও প্লট।
এলাকাবাসী জানায়, দেলুর সেল্টারে পতিতা বৃত্তির সরদার জেসমিন ও বাবুর রমরমা পতিতালয়ে দেহ ও মাদক ব্যবসা করে চলছে নির্বিঘ্নে। কয়েক মাস আগে দেলোয়ারের ভাড়া বাসায় জেসমিন এক নাবালিকা মেয়েকে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে বাসায় আটকে রেখে জোরপূর্বক পতিতা বৃত্তির জন্য চাপ প্রয়োগ করে এবং শারীরিক নির্যাতন করে। পরে ঐ নাবালিকা মেয়ের মা পুলিশের দারস্থ হয়ে তার নাবালিকা মেয়েকে উদ্ধার করে। জেসমিনকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। এ ঘটনার পরও জেসমিন, বাবু ও দেলোয়ারের নিয়ন্ত্রণে চলছে তাদের অপকর্ম। সে প্রায়ই বিমানযোগে কক্সবাজার যাতায়াত করে। মাদক চালানের সুবিদার্থেই সে কক্সবাজার যাতায়াত করে বলে ধারণা এলাকাবাসীর।
এলাকাবাসী জানায়, তাদের এসব অপকর্মের কারণে এলাকার শান্তি-শৃৃঙ্খলা বিনষ্ট হচ্ছে। ধ্বংষের মুখে পড়ছে যুব সমাজ। অভিযুক্তদের মাদক সিন্ডিকেট বাহিনীর ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না। স্থানীয়দের দাবি, অবিলম্বে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করে সমাজ থেকে অশ্লীলতা ও পাপাচার দুর করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আল মামুন জানান, কোন মাদক কারবারিকেই প্রশাসন ছাড় দেবে না। সে যে দলেরই হোক। এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সকল অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা হবে। আমরা এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।