নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা মডেল থানাধীন নূরবাগ সাকিনস্থ পুরাতন সিএনজি স্ট্যান্ড এলাকা থেকে ০৩ মার্চ বেলা ১৫.০৫ ঘটিকায় জেলা গোয়েন্দা শাখা এবং ফতুল্লা থানায় সংবাদ আসে যে, কিছু দুষ্কৃতকারী সন্দেহ জনকভাবে ঘোরাফেরা করছে। এলাকার লোকজন তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে তারা কোন সদুত্তর না দেওয়ায় এলাকার লোকজন তাদেরকে গণপিটুনী দিয়ে ফতুল্লা থানাধীন নূরবাগ সাকিনস্থ পুরাতন সিএনজি স্ট্যান্ড সংলগ্ন জনৈক মামুন মিয়ার নির্মাণাধীন একতলা বিল্ডিংয়ের মধ্যে পিস্তল ও গুলি সহ আটক করে রাখে। অতঃপর পুলিশ সুপার জনাব প্রত্যুষ কুমার মজুমদার মহোদয়ের নির্দেশনায় জেলা গোয়েন্দা শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব তারেক আল মেহেদী সঙ্গীয় অফিসার এসআই (নিঃ)/শংকর সরকার, এসআই (নিঃ)/অংকুর কুমার ভট্টাচার্য্য, এসআই (নিঃ)/কাজী আফজাল শাহীন দ্রুত ঘটনাস্থলে দুপুর ১৩.৩৫ ঘটিকায় উপস্থিত হয়ে জনগণ কর্তৃক গণপিটুনীতে আহত দুই জন দুষ্কৃতকারীকে জনগণের হেফাজত হতে নিজ হেফাজতে নেয়। অতঃপর ফতুল্লা থানার স্পেশাল-২(দিবা) পার্টির এসআই(নি:)/মোঃ সাইফুল ইসলামসহ সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্স ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।
গোয়েন্দা শাখা ও থানা পার্টির জিজ্ঞাসাবাদে উপস্থিত লোকজনের সামনে ১. রাশেদ আহম্মেদ হৃদয়(২৮), পিতা- আঃ রাজ্জাক, সাং- উত্তর রসুলপুর, থানা- ফতুল্লা, জেলা-নারায়ণগঞ্জ স্বীকার করে যে, তার প্যান্টের ডান কোমড়ে একটি ম্যাগাজিনসহ পিস্তল গোজা আছে এবং ২. রহিম আহম্মেদ শান্ত(৩৫) স্বীকার করে যে, তার পরিহিত প্যান্টের বাম পকেটে ০২ (দুই) রাউন্ড পিস্তলের গুলি আছে। তারা আরও বলে যে, উক্ত অস্ত্র-গুলি দ্বারা আধিপত্য বিস্তারসহ প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য হেফাজতে রেখেছিল। উক্ত আসামীদ্বয় সহোদর ভাই। তারা সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। বেশ কিছুদিন ধরে তাদের নিকট থাকা অবৈধ অস্ত্র দ্বারা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে আসছিল। গণপিটুনীতে আহত ধৃত আসামীদ্বয়কে চিকিৎসার জন্য ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল, খানপুর, নারায়ণগঞ্জে নেওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক ২নং আসামি রহিম আহম্মেদ শান্ত(৩৫)কে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। আসামীদ্বয় নিজ হেফাজতে অস্ত্র গুলি রেখে The Arms Act, 1878 এর 19(f) ধারার অপরাধ করেছে। তাদের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় ০৪ মার্চ একটি অস্ত্র মামলা রুজু করা হয়েছে এবং আসামিদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, গ্রেফতারকৃত আসামিদের নামে ফতুল্লা মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, আইন শৃংখলা বিঘ্নকারী অপরাধ(দ্রুত বিচার আইন) এবং মারামারির মামলা রয়েছে।